প্রতিক্ষণ ডেস্ক
শীত এলেই হাজারো পরিযায়ী পাখির আবাসস্থলে পরিণত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। লেকের জলাশয় ও সবুজ পরিবেশে এসব পাখির আগমনে প্রাণ ফিরে পায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। দর্শনার্থীরাও এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)।
বৃহস্পতিবার ময়নামতি লেকে শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। লেকের তলদেশ ও চারপাশ পরিষ্কার করে পাখিদের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি পানিতে টোপাপানা স্থাপন এবং পাখিদের বসা ও বিশ্রামের জন্য কাঠের মাচা বসানো হয়েছে।
জাকসু সূত্র জানিয়েছে, সংস্কারকাজ শেষ হলে ময়নামতি লেক পরিযায়ী পাখিদের জন্য আরও নিরাপদ অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে উঠবে, যা একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বাড়াবে।
পাখি সুরক্ষায় লেকপাড়ে সতর্কতামূলক ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছে এবং অবাঞ্ছিত ভিড় বা শব্দদূষণ ঠেকাতে সক্রিয় নজরদারি চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ইউনিট। পরিযায়ী মৌসুমে মাইক ও উচ্চ শব্দে গান বাজানো থেকেও বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে জাকসু।
উদ্বোধনী পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন—জাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক মো. সাফায়েত মীর, কার্যনির্বাহী সদস্য ফাবলিহা জাহান এবং মাওলানা ভাসানী হলের এজিএস রাকিব হাসান।
মো. সাফায়েত মীর বলেন, “পরিযায়ী পাখির মৌসুম শুরুর আগেই লেককে আরও পাখিবান্ধব করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”